এমপি আনার হত্যাকাণ্ড
মেলেনি দেহাবশেষ, না পেলে মামলার নিষ্পত্তি করা যাবে না: হারুন
আপলোড সময় :
২৭-০৫-২০২৪ ১০:৫৪:০৯ পূর্বাহ্ন
আপডেট সময় :
২৭-০৫-২০২৪ ১০:৫৪:০৯ পূর্বাহ্ন
সংগৃহীত
পশ্চিমবঙ্গের ভাঙড়ের এলাকার খালে তল্লাশি অভিযানের তৃতীয় দিনেও ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারের দেহাবশেষের খোঁজ পাওয়া যায়নি। উদ্ধারকাজে অংশ নেওয়া একজন স্থানীয় জেলে জানান, এভাবে দেহাবশেষ উদ্ধার করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়।
এদিকে কলকাতায় তদন্তে আসা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দাপ্রধান হারুন অর রশিদ বলেছেন, আশা করছি এমপির দেহ না হলেও দেহাংশ উদ্ধার করতে পারব। তা না পারলে এই খুনের মামলার নিষ্পত্তি করা যাবে না। যদিও তিনি আশাবাদী, এমপি আনারের খুনের রহস্য দ্রুত উন্মোচন হবে।
পাশাপাশি তিনি বলেন, মূল অভিযুক্তকে ধরতে প্রয়োজনে ইন্টারপোলের সাহায্য নেওয়া হবে। ঘটনায় মূল ধৃত আমানুল্লাহ ওরফে শিমুল ভূঁইয়াকে ঢাকায় গ্রেফতার করে যে তথ্য পাওয়া গেছে, তা পশ্চিমবঙ্গে আটক জিহাদকে জেরা করে মিলিয়ে দেখা হবে।
এমপি আনারের দেহাবশেষের খোঁজে গতকাল রবিবার ভাঙড়ের খালে তৃতীয় দিনের মতো তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। সকাল ৯টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত ভাঙড়ের সাতুলিয়া এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালান তদন্তকারী কর্মকর্তারা। ডিএমজি এবং এলাকার জেলেদের সাহায্য নিয়ে তল্লাশি অভিযান চালানো হয়।
দুপুরের পর মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হওয়ায় উদ্ধারকাজ বন্ধ করে দেন তদন্তকারীরা। জেলেদের কয়েক জন বলছেন, এইভাবে দেহাংশ উদ্ধার করা সম্ভব নয়। গত শুক্রবার থেকে টানা তিন দিন ধরে বাগজোলা খালে তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছে সিআইডি। আজ সোমবার ফের তল্লাশি হবে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দাপ্রধান এদিন কলকাতায় বলেন, ঘটনা ঘটেছে ভারতে। বাংলাদেশে ধরা পড়েছে তিন জন। আর ঘটনার মূল অভিযুক্ত আকতারুজ্জামান শাহীন অন্য দেশে পালিয়ে গেছেন। তাই তাকে ধরতে ইন্টারপোলের সহায়তার প্রয়োজন হবে। কলকাতায় আটককৃতদের জেরা করে যদি অন্য কারোর নাম উঠে আসে, তাহলে তার খোঁজেও তল্লাশি শুরু হবে।
বাংলাদেশের তিন সদস্যের গোয়েন্দা দল এদিন নিউ টাউন থানায় যায়। তারপর নিউ টাউনের সঞ্জীবা গার্ডেনের সেই ফ্ল্যাটে যায়, যেখানে বাংলাদেশের এমপি খুন হয়েছেন বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থল তারা খতিয়ে দেখেন। তারপর ভাঙড়ের খালে দেহাংশের খোঁজে তল্লাশি অভিযান পরিদর্শন করেন। গত রাতে তারা সিআইডির কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
আজ সোমবার তারা কলকাতায় আটক জিহাদকে জেরা করবেন। প্রতিনিধিদলের অন্যরা হলেন ওয়ারী বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) আব্দুল আহাদ ও অতিরিক্ত উপ-কমিশনার সাহেদুর রহমান। ২৬ ও ২৭ মে দুই দিনের সফরে জোর অনুসন্ধান চালাবে গোয়েন্দা টিম। যদিও ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে আজ সোমবারও কলকাতা ও সংলগ্ন অঞ্চলে প্রবল ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে তদন্ত কতটা করা যাবে, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
এদিকে, ঘটনায় ব্যবহৃত ছুরি, কাঁচি, চপারের খোঁজ এখনো পাননি সিআইডির গোয়েন্দারা। ফলে কীভাবে ঘটনা ঘটানো হয়েছে, তা নিয়ে তারা ধন্ধে রয়েছেন। তবে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, নিউ টাউনের অ্যাক্সিস মল থেকে ঘটনার সঙ্গে যুক্ত দুষ্কৃতকারীরা ১০ বোতল ফ্লোর ক্লিনার এবং ১৫ বোতল অ্যাসিড কিনেছিল। তদন্তকারীদের ধারণা, এগুলো হয়তো ঘটনাস্থল থেকে রক্ত ধুয়ে, মুছে ডিএনএ-সংক্রান্ত প্রমাণ নষ্ট করতে ব্যবহার হয়েছে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Monir Hossain
কমেন্ট বক্স